Perfumes!
With a fragrance touch....
Tuesday, December 10, 2019
Monday, October 21, 2019
আতর কি?এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ
যার উপস্থিতি
স্বতন্ত্র সুবাসে নতুন ঘ্রান সৃষ্টি করে সেটাই সুগন্ধী।তাহলে আতর কি?পার্শিয়ান
শব্দ ‘ইতির’(itir) থেকে প্রাপ্ত আতর,ইতার বা ইতরা এই শব্দগুলি।এই ‘ইতির’ শব্দটিই
সুগন্ধী নামে পরিচিত। তবে প্রাচীন যুগে মিশরীয়রা এই আতর তৈরীতে বিখ্যাত ছিল।
বিভিন্ন গাছ বা ফুল থেকে তারা আতর তৈরী করত কোন রকম মিশ্রণের কারুকাজ ছাড়ায়।বিখ্যাত
চিকিৎসক আল শেখ আল রাইস বিভিন্ন স্বতন্ত্র সুগন্ধী তৈরী করে এর প্রচলন ঘটান।ইতিহাসে
তিনি আবি আলি আল সিনা নামে পরিচিত।আজ যাকে আমরা ইবনে সিনা নামে জানি।ইনিই প্রথম
ব্যক্তি যিনি গোলাপ ও অন্যান্য গাছের সুগন্ধী পৃথক করার কৌশল রপ্ত করেছিলেন।পরবর্তিতে
ইবনে আল বাইতার নামে মধ্যযুগের এই রসায়নবিদ প্রাকৃতিক উপায়ে এই আতর সংগ্রহের
পদ্ধতি তুলে ধরেন।গোলাপের নির্ষাসের কৌশল আবিস্কারের আগ পর্ষন্ত তরল সুগন্ধিগুলো
তেল দ্বারা মিশ্রিত ছিল।তথাকথিত পূর্ব কৌশল অপেক্ষা এই নতুন পদ্ধতিতে গোলাপের
নির্ষাস সংগ্রহ ক্রমশই অন্যান্য মহাদেশে দ্রুত বিস্তার লাভ করে।তিনি ৬২টি
কার্ডিয়াক ঔষধের মধ্যে ৪০টি এই ইত্তার থেকে তৈরী করেছিলেন।এরমধ্যে যে আতরগুলো
অন্তভুক্ত ছিল হলঃআগর উদ, গোলাপ , জাফরান ও জেসমিন।
আতর সাধারণত
মুসলিম জনগোষ্ঠী ও ভারতীয় উপমহাদেশে পাশাপাশি স্থানীয় আরবরা ব্যবহার করত
স্বাস্থ্যব্যাধি নিরাময়ের জন্য।গ্রীক মেডিসিনেও এর ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।তবে
এর বিশেষ প্রকারভেদের বর্ণণা পাওয়া যায় ইয়েমেনের রাণী আওরা আল সুলাইহির
যুগে।পাহাড়ী বিভিন্ন ফুল নির্ষাস দ্বারা
তৈরী আতর আরব রাজতন্ত্রী হিসেবে উপহার
পেয়েছিলেন।
ভারতবর্ষে আকবরের
শাসনামলে তার প্রখ্যাত উজির আবুল ফজল কিভাবে ধুপ বা বার্নারে আকারে ব্যবহার করা
যায় এই বিষয়ে তার মতামত ব্যক্ত করেন।সেই সময় যে ছাল ব্যবহার করা হত তা হল-
অ্যালভেরা,চন্দন,দারচিনি।
কিছু মূল্যবান অর্গানিক বা
ন্যাচারাল আতরের নাম নিম্নরূপঃ
১।আগর উদ
২।কুস্তরী
৩।শামামা
৪।আম্বারগ্রিস
এছাড়া
হেনা,রোজ,জেসমিন,স্যান্ডেলউড। কোন রকম মিশ্রণ ছাড়া এগুলো একেকটি আভিজাত্যের প্রতীক
হয়ে উঠে।এজন্যেই ভারতের উত্তর প্রদেশ,কৌনুজ্জ,মহরাস্ট্র হয়ে উঠেছে সুগন্ধী শহর।এছাড়া
থাইল্যান্ড,ভিয়েতনামের কিছু অংশ আগর গাছ সংরক্ষন করে আতর শিল্পকে জনপ্রিয় ও
বহুলাংশে সোনার চেয়েও দামী করে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক চাহিদা তুলে ধরতে সক্ষম
হয়েছে।
।।অর্গানিক আতর।।আগর উদ।।কুস্তরী।।শামামা।।
#Pure Oud Oil#Musk Oil
#Shamama Oil
বাংলাদেশে অনলাইন আতর কেনাবেচা ও ওউদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি
বাংলা নামে আতর বললে সাধারনত গ্রাম বাংলার দিকে দশ বিশ টাকার আতরকে বুঝি। অথচ মধ্যপ্রাচ্যে এর চাহিদা আমাদের ধারনার বাইরে।বলতে গেলে এদেরকে এক কোথায় 'সুগন্ধি পাগল' বলতে হয়।
আসলে এরাবিয়ান ধাঁচের ওয়েল পারফিউম হচ্ছে ঘ্রানের শেষ স্তর।অনেকের পারফিউমের প্যাশন শুরু হয় বিভিন্ন ধরনের হালকা- মিষ্টি ফ্লাওয়ারিশ টাইপ বা ওয়েস্টার্ন ধাঁচ থেকে।এরপর ঘাঁটাঘাঁটি করলে মুখাল্লাত,সুলতান,বাখুর,আলিফ জাহরা,মাস্ক আল গাজ্জালি,রোজ মাস্ক,স্যান্ডেল রোজ থেকে হাজারে আসওয়াদ যখন শেষ হয়।এরপর চুপচাপ বসে থাকা।নুতন আইটেম খুব কম পাবেন।এই সুযোগটায় নেবে শেষে ওউদ। এই ওউদের ঘ্রাণে মাতয়ারা মধ্যপ্রাচ্য।
আপন মনেই কাঠ পচা ঘ্রানটাই ওউদের বিশাল রাজ্যে নিয়ে যাবে।চেনাবে আগর ওউদ,ওউদ কম্বোডি,আসাম ওউদ,ব্ল্যাক ওউদ,সুলতান আল ওউদ,জাজুর আল ওউদ,শাহী শামামা,কুস্তরী,ওউদ আল শামস-এর ধরনের হাই ক্লাস পারফিউম ফ্লেভার।এরপর শুরু হয় গবেষণা।কোনটা কতক্ষন থাকে,কি কি নোট পাওয়া যাবে।সিনথেটিক না আর্গানিক।কোথায় গেলে অরিজিনাল টা পাবো! অনলাইন কিনবো করবো না শপে যেয়ে নেবো!কনফিউশন অনেক আছে শপে গেলে জেনুইন প্রোডাক্ট কি দেবে?নাকি কিছুটা মিশ্রন পাবো!এক গ্রাম 'রুহ গুলাব' কত টাকা হতে পারে? এ রকম অনেক প্রশ্ন দানা বাঁধতে থাকবে।
আমি সোশ্যাল মিডিয়ার অনেক দেশের পারফিউম কমিউনিটি ফলো করি।দেখি তাদের কত বৈচিত্র্য! হাহাকার নেই,কোন মান অনুযায়ী ক্ষোভের জায়গা নেই।ইভেন উপমহাদেশের বাকী দুই দেশে প্রাইজ আর কোয়ালিটির ধারে কাছে আমরা নেই।তাতে কি এখন অনলাইনে চলে এসেছে আমাদের পারফিউমের রমরমা ব্যবসা।ফেসবুকে অনেক পেজ আছে তবে বিশেষ করে Perfumance,Zaki's Perfume Fountain,PerfumeFactory,Perfume Corner,NOUR।এদের থেকে অনলাইনে অনায়াসে আতর নেয়া যায়।
।।মারুফ।।
Subscribe to:
Posts (Atom)